স্বাস্থ্য টিপস

১২টি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সাদা স্রাব প্রথমবার, দ্বিতীয়বার

স্ত্রী লোকের জন্য গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি? এ সম্পর্কে ধারণা না থাকলে পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আজ আমরা আপনাকে, প্রথমবার বা দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ,কত দিন পর বোঝা যায়? সে সম্পর্কে বর্ণনা করবো।

একজন মহিলা গর্ভাবস্থায় অনেক শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন অনুভব করেন। গর্ভাবস্থার প্রথম মাসের চিহ্ন অনুসারে, এই দীর্ঘ কঠিন সময়ের মধ্যে মহিলারা গর্ভাবস্থার বিভিন্ন লক্ষণ বহন করে। যার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তিনি গর্ভবতী। কিন্তু মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে আমরা কতটুকু সচেতন এবং কতটা জানি?

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কখন দেখা দেয়?

৯০% মহিলার লক্ষণগুলি প্রকাশ পেতে 8 মাস সময় লাগে। যাইহোক, পিরিয়ড মিস হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে স্ট্রিপ দিয়ে পরীক্ষা করে গর্ভধারণ নিশ্চিত করা যায়। নিশ্চিত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে। স্ট্রিপ দিয়ে পরীক্ষা করা কখনও কখনও ভুল ফলাফল দেয়, যদিও সংখ্যাটি খুব কম।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি

জেনে নিন প্রেগনেন্সির ১২টি প্রাথমিক লক্ষণঃ

১। পিরিয়ডের সময় পার হয়ে যাওয়া 

আপনি গর্ভবতী কি না তা জানার প্রথম লক্ষণ হল পিরিয়ড মিস করা। যদিও পিরিয়ড মিস করার আরও অনেক কারণ রয়েছে। অনেক সময় আবার মহিলারা তাদের মাসিক চক্রের দিকে নজর রাখেন না, এমন অনেকেই আছে যাদের অনেক মাস ধরেই অনিয়মিত মাসিক হয়। National Institutes of Health এর মতে, 

  • কোন মহিলার অতিরিক্ত ব্যায়াম, 
  • অত্যধিক ওজন বাড়া বা কমা, 
  • মানসিক চাপ, 
  • অসুস্থতা
  • বুকের দুধ খাওয়ানো 

ইত্যাদি কারণে ও অনেকের মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।

২। রক্তপাত 

গর্ভধারণের দুই সপ্তাহ পর, একজন গর্ভবতী নারীর অল্প পরিমাণে রক্তপাত হতে পারে। রক্তের রঙ গোলাপী বা বাদামী হতে পারে এবং এসময় হালকা পেট ব্যাথাও হতে পারে। যার ফলে নারীরা ভাবেন হয়ত পিরিয়ড হয়েছে। কেননা এই ব্লিডিং টা মাসিকের সময়ের আশেপাশেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৩। স্তনের সংবেদনশীলতা

মাসিক চক্রের ছয় সপ্তাহ বা গর্ভধারণের দুই সপ্তাহ পর, একজন মহিলার স্তনগুলি ফুলে উঠে, এবং স্তনের বোটা অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে যায়। ‘প্রজেস্টেরন এবং এস্ট্রোজেন’ হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং স্তনে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার ফলে এমনটা হয়।

 গর্ভাবস্থার আরেকটি প্রাথমিক লক্ষণ হল নারীর স্তনের কালো অংশটুকু বা অ্যারিয়লা আরও গাঁড় আকারে কিছুটা বড় হতে পারে। এটিও গর্ভকালীন সময়ের বাড়তি হরমোনের কারণে হয়।

৪।ক্লান্তি ভাব 

গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকের পাশাপাশি  প্রসবের কয়েক মাস আগে থেকে ক্লান্ত বোধ হওয়া খুবই সাধারণ। প্রাথমিকভাবে গর্ভাবস্থায় প্রোজেস্টেরণ হরমোন বৃদ্ধির কারণে এমন হতে পারে। আমেরিকান প্রেগন্যান্সি অ্যাসোসিয়েশনের (American Pregnancy Association) মতে, একজন মহিলা গর্ভধারণের ১ সপ্তাহের মধ্যে ঘুম ভাব স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি  হয়। 

গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে শরীর বেশি ক্লান্ত থাকে। কারণ এই সময়ে প্লাসেন্টা এবং ভ্রূণ (ফিটাস) মায়ের শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে পুষ্টি গ্রহণ করে।

৫। মর্নিং সিকনেস 

মর্নিং সিকনেস বলতে সাধারণত সকালের অসুস্থতাকে বুঝায়। কিন্তু এটি শুধু সকালে নয় দিনের  যে কোন সময় হতে পারে। গর্ভধারণের ৬ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে অনেক নারীই পেটে অসুস্থতা বোধ করেন এবং কিছু নারী ১৪ সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় ভাল অনুভব করে থাকেন।

The American Congress of Obstetrics and Gynecology (ACOG) অনুসারে, এসময় ৭০ থেকে ৮৫ শতাংশ মহিলাদের বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। এই লক্ষণগুলি গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে। 

৬। স্ফীত হওয়া

গর্ভাবস্থার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পেট দেখা যায়না, কিন্তু এই সময় একজন নারীর তল পেট নরম হয় এবং কিছুটা ফুলে যায়। প্রজেস্টেরণ হরমোনের বৃদ্ধির কারণে এমন হয়। 

৭। মেজাজ পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তনের সাথে সাথে খুব দ্রুত মুড পরিবর্তিত হয়। কেননা এসময় হরমোন শরীর এবং মনের উপর বিশাল প্রভাব ফেলে। কিছু নারীদের জন্য, পরিবর্তন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হতে পারে। হরমোন পরিবর্তনের পাশাপাশি শারীরিক অস্থিরতার জন্যও মুড চেঞ্জ হতে পারে। হরমোনাল পরিবর্তনের জন্য এসময় নারীরা খুব বেশি ইমোশনাল থাকে। এছাড়াও মা হওয়ার উদ্বেগ, একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়া এবং আর্থিক বিষয়ে নারীরা চিন্তা করে সহজেই ভেঙ্গে পড়ে। 

৮। ঘন ঘন প্রস্রাব

প্রথম ৩মাসে এবং গর্ভাবস্থা শুরুর ৬ সপ্তাহ থেকে, গর্ভবতী নারীর ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। প্রাথমিক গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন বাথরুমে যেতে হয়, কেননা এসময় অতিরিক্ত তরল যেমন রক্ত চলাচলের কারণে কিডনিকে বেশি কাজ করতে হয়। সময় যাওয়ার সাথে সাথে গর্ভবতী মহিলার গর্ভে সন্তান বাড়তে শুরু করে। ফলে মুত্র থলিতে বেশি চাপ পরে এবং এর ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব  হয়।  

৯। কোষ্ঠকাঠিন্য

অতিরিক্ত প্রজেস্টেরন হরমোনের কারণে এসময় কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এছাড়াও এই হরমোন পরিপাক প্রক্রিয়াকে ধীর করে  যেন বেশি পুষ্টি ভ্রূণে পৌঁছাতে পারে। অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যে পেশীগুলো বর্জ্য পদার্থগুলোকে ধাক্কা দেয়, গর্ভাবস্থার হরমোনগুলি সেসব পেশীকে রিল্যাক্স করে দেয়। এসময় প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে হবে এবং খাদ্যদ্রব্যে ফাইবার এর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। 

৯। মাথা ব্যাথা

প্রথম ৩মাসে মাথা ব্যাথা হওয়াটা খুব সাধারণ একটি বিষয়। অনেক সময় বেশি ক্ষুধা লাগলে, পানিশূন্যতার কারণে, কিংবা হঠাৎ করে চা-কফি ছেড়ে দেয়ার জন্যও  মাথা ব্যাথা হতে পারে।  

১০। মাথা ঘোরানো

গর্ভধারণের প্রথম কয়েক মাস কিছু নারীদের মাথা ঘোরায়। ব্লাড সুগার কমে গেলে বা পানিশূন্যতা হলে মাথা ঘুরতে পারে। বিশেষ করে যখন কোন নারী তার অবস্থান পরিবর্তন করে, যেমন- বসা থেকে দাঁড়ানো বা বিছানা থেকে উঠার সময় মাথা ঘোরানো সমস্যাটা খুব বেশি অনুভব করে থাকেন। এই পরিস্থিতিকে অনেক নারীই ‘মাথা চক্কর দেয়’ বলে থাকেন। এসময় যদি কোন নারী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সাদা স্রাব

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

প্রতিটি নারীর ওই বয়সন্ধিকালের দু’বছর আগে থেকে ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বা  স্রাব নির্গত হতে থাকে।  এটি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। মেনোপজের পরে নির্গমন বন্ধ হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাব এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এটি খুবই  স্বাভাবিক। গর্ভাবস্থায় এস্ট্রোজেন হরমোন বেড়ে যাওয়ায় যোনিপথের আশেপাশে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এরকমটা হয়ে থাকে। যদি আপনার পিরিয়ড মিস হয়, তারপর সাদাস্রাব এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যায়, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন এই  সাদা স্রাব গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ।

আরও পড়ুন ;  ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ? ইনসুলিন নিতে হবে কিনা জানুন

মাসিকের বা পিরিয়ডের আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

কোন মাসে যদি পিরিয়ড মিস হয় সেটি গর্ভকালীন সুস্পষ্ট একটি লক্ষণ। কিন্তু  মাসিকের বা পিরিয়ডের আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কি? পূর্ণাঙ্গ ডিম্বাণু জরায়ুতে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে। তাই এই সময় কালটা গর্ভধারণের জন্য সবচেয়ে উর্বর। সাধারণভাবে ধরা হয়, পিরিয়ডের শুরুর দিন থেকে ধরলে ৯ থেকে ১৯তম দিনের মাঝে, অর্থাৎ এই ১০ দিনের যেকোনো দিন জরায়ুতে শুক্রাণু থাকলে নিষিক্ত হতে পারে।

তাই মাসিক মিস করার অনেক আগেই ডিম্বাণু নিষিক্ত হয় এবং জরায়ুর দেওয়ালে রোপিত হয়। রোপিত  হওয়ার কয়েক দিন বা সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে মাসিকের দিনের আগেও আপনার শরীরে গর্ভাবস্থার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। 

তো চলুন জেনে নেয়া যাক মাসিক বা পিরিয়ড মিস হওয়ার পূর্বেই  কি ধরনের লক্ষণগুলো দেখা দেয়–

  • রক্তপাত এবং খিঁচুনি
  • শরীরের তাপমাত্রা  বেড়ে যাওয়া
  • কোমল এবং ভারী স্তন
  • ক্লান্তি এবং অবসাদ
  • বমি বমি ভাব
  • খাবারের আকাঙ্ক্ষা, এবং গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা
  • পেট ফুলে যাওয়া
  • প্রস্রাব করার তাগিদ
  • মেজাজ পরিবর্তন
  • মাথা ঘোরা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য
  • মাথাব্যথা এবং যন্ত্রণা
  • মুখে অদ্ভুত স্বাদ
  • অত্যধিক তৃষ্ণা বা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা
  • সার্ভিকাল শ্লেষ্মা পরিবর্তন
  • শ্বাসকষ্ট
  • মুখ দিয়ে লালা নির্গত হয়
  • দাগ, ব্রণ এবং ফোঁড়া

পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

মাসিক মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হলোঃ বিভিন্ন মহিলা বিভিন্ন সময়ে উপসর্গ অনুভব করেন। কোমল স্তন, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, তন্দ্রা ভাব, গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা এবং পেট ফাঁপা বা ফুলে যাওয়া সাধারণ লক্ষণ। সাধারণত আপনার মাসিক হওয়ার এক সপ্তাহ থেকে দশ দিন আগে শুরু হয়। ঘন ঘন প্রস্রাব সাধারণত পিরিয়ডের কয়েকদিন আগে হয়। অন্যান্য উপসর্গ যেমন যোনিপথ থেকে স্রাব, সার্ভিকাল শ্লেষ্মা রঙের পরিবর্তন উপসর্গগুলি কয়েক দিন পরে দেখা দিতে পারে এবং ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

আরও পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ঔষধের নাম। ছেলেদের, মেয়েদের, হারবাল, ভিটামিন ঔষধ

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়?

বেশিরভাগ মহিলা বিশেষ করে প্রথমবারের মমা হতে যাচ্ছেন তারা গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি সম্পর্কে বেশ কনফিউজড হন। সাধারণত, পিরিয়ড  মিস হওয়ার ১ বা ২ সপ্তাহের মধ্যে কিছু গর্ভাবস্থার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অনেক মায়েরা গর্ভাবস্থার প্রথম ১ মাস বুঝতে পারেন না তারা গর্ভবতী

ডিম্বাণু নিষিক্ত হলেই সাধারণত গর্ভাবস্থার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর,  প্রায় ৬ দিন সময় লাগে ফ্যালোপিয়ান টিউবের (Fallopian Tube) মাধ্যমে জরায়ুতে পৌঁছাতে।

প্রায় ৬০% মহিলা গর্ভাবস্থার প্রথম ৬ সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি অনুভব করেন এবং প্রায় ৯০% মহিলা প্রথম ৮ সপ্তাহের মধ্যে এই গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলি অনুভব করতে পারেন।

প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

যাঁরা প্রথমবার গর্ভবতী হন স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের আগে মা হওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। সেক্ষেত্রে সবকিছু বুঝতে এবং শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেকেরই সময় লাগে। অনেকের জন্য, তিন মাস কেটে যায় এবং কেউ বুঝতে পারে না যে  সে  গর্ভবতী। এরকম টা বেশিরভাগ হয়ে থাকে যাদের অনিয়মিত মাসিক হয়।

আপনারও যদি অনিয়মিত মাসিক হয়, তাহলে আপনার উচিত একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা করা। এমন অবস্থায় কেউ যদি সন্তান ধারণের পরিকল্পনা করে থাকে, তার যদি উপরে লেখা লক্ষণগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকে, তাহলে প্রথম থেকেই বোঝা সম্ভব যে মহিলাটি গর্ভবতী। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য হোম টেস্ট কিট এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

যারা দ্বিতীয়বার গর্ভবতী তারা শুরু থেকেই অনেক কিছু বুঝতে পারেন। পূর্বের অভিজ্ঞতা এবং প্রাথমিক লক্ষণগুলি ব্যবহার করে তারা সহজেই বুঝতে পারে যে তারা গর্ভবতী। কখনও কখনও প্রথম গর্ভাবস্থার সাথে দ্বিতীয় গর্ভাবস্থার কিছু লক্ষণ ব্যতিক্রম হতে পারে।

যেহেতু অনেকেই প্রথম গর্ভাবস্থায় কোনো খাবারের গন্ধ পান না, তারা পুরো পিরিয়ড জুড়ে খাবার খেতে পারেন। কিন্তু দ্বিতীয় গর্ভাবস্থায়, আপনি সঠিকভাবে খাবার খেতে পারবেন না। প্রথম গর্ভাবস্থা অনেকের জন্য খুব সহজ, কিন্তু দ্বিতীয় গর্ভাবস্থায় অনেক জটিলতা রয়েছে।  অনেকেই তাদের দ্বিতীয় গর্ভাবস্থায় শারীরিক ও মানসিক জটিলতার মধ্য দিয়ে যায়।

অন্যদিকে, অনেকের জীবনে প্রথম গর্ভাবস্থা কঠিন, কিন্তু দ্বিতীয় গর্ভাবস্থা সহজেই পাস করে  যান। আসলে গর্ভাবস্থার যাত্রা কেমন হবে তা নির্ভর করে সেই সময়ে নারীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর। এছাড়াও, মহিলাদের বেশিরভাগ গর্ভাবস্থায় সাধারণ লক্ষণগুলি দেখা যায় যা আমি ইতিমধ্যে আমার আর্টিকেলে বর্ণনা করেছি।

মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ 

আমি পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ  অংশে বর্ণনা করেছি। আপনি সেই অংশটুকু পড়ে মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন।

মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্সি বুঝা যায়? জানুন

মেয়েদের গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

প্রথমবার মা হওয়া প্রতিটি নারীর জীবনে একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। বিবাহিত বা অবিবাহিত প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সবার ক্ষেত্রে একই রকম হয় না।  আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি গর্ভবতী তাহলে উপরের লক্ষণগুলো সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন, কোনো লক্ষণগুলো আপনার সাথে মিলে যাচ্ছে। 

মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

বয়স্ক মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ
বয়স্ক মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ

মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। গর্ভাবস্থায়  ঝুঁকিও বেড়ে যায়। অতএব, ৩০ বছর বয়সের মধ্যে অন্তত প্রথমবার গর্ভধারণ করা উচিত।

গবেষণায় দেখা গেছে যে ৩০ বছর বয়সের পরে ৫০ শতাংশ এবং ৩৫ বছর বয়সের পরে আরও ৩০ শতাংশ উর্বরতা হ্রাস পায়৷ তবে, একটি শিশুর জন্মের পরে এই ঝুঁকি হ্রাস পায়৷ ত্রিশের পর সন্তান ধারণ করলেও বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারও উর্বরতা হ্রাস করে। তাই গর্ভধারণে সচেতন হতে হবে।

গর্ভধারণের একটি নির্দিষ্ট বয়স আছে। ডাক্তাররা বিশ্বাস করেন যে মেয়েদের ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে প্রথমবার মা হওয়া উচিত পরে বিপদের ভয়। নির্দিষ্ট বয়সের আগে মা হলে নারীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হন।

মহিলারা গর্ভবতী ২৫  কিংবা ৩৫ হোক না কেন, উপরে যে লক্ষণগুলো আলোচনা করেছি এরকমই হয়ে থাকে। আপনি যদি আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আপনার একটা ভাল ধারণা হয়েছে। 

পরিশেষে,
আমি আশা করি, গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কখন দেখা দেয়? মাসিকের বা পিরিয়ডের আগে লক্ষণ গুলো কি কি? প্রথমবার এবং দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আপনার একটি ভালো ধারণা হয়েছে।  আপনি যদি সন্তান নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন, তাহলে উপরের লক্ষণ গুলোর সাথে মিলিয়ে দেখুন যে, কোনগুলো আপনার সাথে মিলে। যদি আপনার এই সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

Related Articles

Leave a Reply