আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন কবিতা Amake Khojo Na Tumi Bohudin Kobita Jibanananda Das
Amake Khujo Na Tumi Bohudin Kobita (আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন কবিতা) is written by Jibanananda Das’s “Bonolota Sen” (1952) Poetry Book. This is a top Bengaly Poem Dujon that recited by Jhelum, Rana Ahmed.
Summary Of Content: multyLoad
আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন লিরিক্স কবিতা “দুজন” জীবনানন্দ দাশ
আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন – কতদিন আমিও তোমাকে খুজি নাকো ;
এক নক্ষত্রের নিচে তবু – একই আলো পৃথিবীর পরে
আমরা দুজনে আছি, পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়;
প্রেম ধীরে মুছে যায়; নক্ষত্রের ও একদিন মরে যেতে হয়!
হয় নাকি? – বলে সে তাকাল তার সঙ্গিনীর দিক,
আজ এই মাঠ সূর্য সহধর্মী অঘ্রাণ কার্তিকে প্রাণ ভরে গেছে।
দু’জনে আজকে তার চিরস্থায়ী পৃথিবী ও আকাশের পাশে
আবার প্রথম এল – মনে হয় যেন কিছু চেয়ে – কিছু একান্ত বিশ্বাসে।
লালচে-হলুদ এ পাতা অনুষঙ্গের জাম, বট, অশ্বথের শাখার ভিতরে
অন্ধকারে নড়েচড়ে ঘাসের উপর ঝরে পড়ে,
তারপর সান্ত্বনায় থাকে চিরকাল।
যেখানে আকাশে শুধু নীরবতা; শান্তিপুর আছে,
হৃদয়ে প্রেমের গল্প শেষ হলে ক্রমে ক্রমে সেখানে মানুষ
আশ্বাস খুজেছে এসে সময়ের দায়-ভাগী নক্ষত্র এর কাছে,
সেই প্রান্তরে দু’জন; চারিদিকে যাওয়া হম, নিম, নাগেশ্বরে
হেমন্ত আসিয়া গেছে; চিলের সোনালীডানা হয়েছে খয়রি,
ঘুঘুর পালক যেন ঝরে গেছে; শাকিলের নেই আর দেরি,
হলুদ কঠিন ঠ্যাং উঁচু করে ঘুমাবে সে শিশিরের জলে,
ঝরিছে-মরিচের সব এইখানে – বিদায় নিতে ব্যর্থ নিয়মের ফলে।
নারী তার সঙ্গীকে: পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়;
জানি আমি; তারপর আমাদের হৃদয়
কে নিয়ে থাকবে বলো; – একদিন হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে চেতনা;
তারপর ঝরে গেছে; আজ মনে হয় যদি ঝরত না।
হৃদয়ে প্রেমের শীর্ষ আমাদের – প্রেমের অপূর্ব শিশু আর’ক্ত বাসনা
ফুরত না যদি; আহা, আমাদের হৃদয়ের থেকে –
এই বলে ম্রিয়মাণ আচলের সর্বস্বতা দিয়ে মুখ ঢেকে
উদ্বেল কাশের বনে দাঁড়িয়ে রইলো হাটু ভর।
হলুদ রঙের শাড়ি; চোর কাঁটা বিঁধে আছে; এলোমেলো অঘ্রানের খর
চারিদিকে শূন্য থেকে ভেসে এসে ছুঁয়ে-ছেনে যেতেছে শরীরের
চুলের উপর তার কুয়াশা রেখেছে হাত, ছুঁয়েছে শিশির,-
প্রেমিকের মনে হলো এই নারী অপরূপ খুঁজে পাবে নক্ষত্রের তীরে
যেখানে রবে না আমি; রবনা মাধুরী, এই রবে না হতাশা;
কুয়াশা হবে না আর – জনিত বাসনা নিজে – বাসনার মতো ভালোবাসা
খুঁজে নেবে অমৃতের হরিণের থেকে ইপ্সিতেরে তার।
Amake Khojo Na Tumi Bohudin Jibanananda Das Kobita Dujon
Amake Khojo Na Tumi Bohudin – Kotodin amio tumake khoji nako;
Ak nokhotrer niche tubu – akla alo prithibir pore
Amara dujone achi, prithibir porono pother rekha hoye jay khy;
Prem dhire muche jay; Nokhotrer o akdin more jete hoy!
Hay naki? – bolo she thakalo tar shoginir dike,
Aj ai mad surjo shohodormi ogran karthike pran vore geche.
Dujon ajke tar chiroshayi prithibi o akasher pashe
Aber prothom alo – mone hoy jeno kicho cheye – kinto akanto bishashe.
Nallche-holodhe patha onushogo jum, bot, oshothoer shakr vithore
Ondhokare norechore Gasher oper jore pore,
Tarpor shantonay thake chirokal.
Jekhane akashe sudu nirobota; shantipur ache,
Hrydaye premer golpho shas hole krome krome shekhane manus
Ashas khujeche ashe shomayer day-vagu nokhotro ar kache,
Shai prantore du’jon; chardike jaoya am, num, oshother
Hamonto ashiya geche; chilar shonali dhana hoyeche khoyeri,
Gugur palok jeno jore geche; shaliker nai ar deri,
Holud kodin daagh ochu kore gumabe se shishirar jole,
Joreche-moriche shob aikhane – biday nite bartho niyomer fol.
Nari thar shogike: prithibir porono pother rekha hoye jay khoy;
Jani ami; tarpor amader hriday
Ki niye thakbo bolo; – akdin hridaye agat diyeche chetona;
Tarpor jore geche; aj mone hay jodi jorto na.
Hriday premar shirshe amader – premer oporbo shisho orokto bashona
Furotona jodi; aha, amader hridayerr theke –
Ai bole mriyoman acholer shorboshota diye muk dheke
Othel kasher bone dariye roylo hatu vor.
Holud roger shari; chor kata bidhe ache; alomelo ograner khor
Cherdike shunno theke veshe ashe chuye-chene jeteche shorirar
Chuler oper ther kuyasha rekheche hat, chuyeche shisir, –
Pramiker mone holo ai nari oporup kuje pabe nokhotar tire
Jokhane robe na ami; robona madhuri, ai robe na hothasha;
Khuyasha hobe na ar – jante bashona nije – bashona moto bhalobasha
Khuje nabe omritoer horiner theke espitere tar.
Bangla Kobita (Amake Khojo Na Tumi Bohudin) আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ “বনলতা সেন” (১৯৫২) কবিতা “দুজন”। সাধারণত কবিতার প্রথম সাতটি লাইনে বেশি আবৃত্তি করা হয়ে থাকে।কবিতা আবৃত্তি করেছেন ঝিলম ত্রিবেদী, রানা আহমেদ, হিমু, নাঈম ইসলাম এবং আরো অনেকে। কলকাতার বাংলা সিনেমা “পরিণীতা” কবিতাটি প্রথম সাত লাইন আবৃত্তি করা হয়েছিল।