How to

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় | ২০২৩ সালে কিভাবে সাফল্য অর্জন করবেন

আপনি উদ্যোক্তা হতে চাচ্ছেন? ব্যবসা করতে চান? কিন্তু বুঝতে পারছেন না যে কোথা থেকে শুরু করবেন! কিভাবে শুরু করবেন! চিন্তার কোন কারণ নেই। এই আর্টিকেলে, আমি এমন কিছু সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় তুলে ধরেছি। যেগুলো জানার পর। আপনি নিজে থেকেই একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন।

এবং আপনার কাঙ্খিত ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন কিনা। সেই বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা অনুভব করতে পারবেন। তো চলুন, উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় জানার আগে কয়েকটি বিষয়ে বুঝে নেয়া যাক:

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়

“উদ্যোক্তা হওয়া কেবল একটি স্বপ্ন নয়। বরং এটি স্বপ্ন, সদিচ্ছা ও সাহসের সমন্বয়।”

উদ্যোক্তা হওয়ার উক্তি

উদ্যোক্তা কাকে বলে? একটি সংগঠন স্থাপনের প্রাথমিক প্রচেষ্টাকে উদ্যোগ বলে। এবং যিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তাকে উদ্যোক্তা বলে।

ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা: আমার মতে, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় লোকসানের সম্ভাবনা আছে জেনেও। ঝুঁকি নিয়ে নির্দিষ্ট কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করাকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলে। এবং আগামীর ঝুঁকি এড়িয়ে চলার প্রস্তুতিপূর্বক লক্ষ্য অর্জন সাধনে। যে ব্যক্তি উদ্যোগ গ্রহণ করে সাহসিকতার পরিচয় দেয়। তাকে উদ্যোক্তা বলে।

“ঝুঁকি গ্রহণ ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে সম্পর্ক যুক্ত।”

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার আগে এটা মানতেই হবে… উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়

আমি ব্যবসা করে সফল হতে পারবো তো?

কিভাবে ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করবেন
কিভাবে ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করবেন

আপনি হয়তো অনেকবার নিজেকে নিয়ে ভেবেছেন যে, ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন কিনা।

আমি বলবো: আপনার চিন্তার পরিবর্তন করুন। অর্থাৎ এইভাবে ভাবুন! “সফল হওয়ার জন্য ব্যবসা’ই করতে হবে কিনা।” তাহলে আপনি সহজেই নিজের ভিতর থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় ও আসল রহস্য বের করতে পারবেন।

আপনি যদি মনে করেন; আমি ভালো একটা কোম্পানিতে জব করছি এবং দিব্যি সুখে আছি। তাহলে আপনি চাকরি করেও সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। (কারণ, সাফল্যের আরেক নাম: সুখ)।

আর যদি এমনটা ভাবেন যে: ৯ – ৫ টার নিয়ম-তান্ত্রিক চাকরির যাতাকলে পড়ে, সফল হওয়া সম্ভব না। তাহলে আপনাকে অবশ্যই পেশন হিসেবে কোন না কোন ব্যবসা করতেই হবে।

স্মল বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (SBA) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের করা প্রতিবেদন অনুযায়ী। 30% উদ্যোগ প্রথম দুই বছরের মধ্যে ব্যর্থ হয়। এবং 50% উদ্যোগ ব্যর্থ হয়, প্রথম পাঁচ বছরে। ( তবে, এই পাঁচ বছরে যারা তাদের নির্ধারিত ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারে। প্রকৃতপক্ষে তাদের অধিকাংশরাই সফল হয় )।

ঝুঁকি এড়িয়ে চলে উদ্যোগ গ্রহণের সাহসিকতা হলো: আসল ব্যাপার। মনে রাখবেনঃ আল্লাহ্ তা’য়ালা কখনো কাউকে অসীম প্রতিবন্ধকতার মাঝে রাখে না। তাই বলে এই না যে, সফল ব্যক্তিরা কখনো ঝুঁকির সম্মুখীন হননি।

বরং তারা জানতো: সফলতার একটি বড় প্রতিদ্বন্দী শব্দ হলো- ব্যর্থতা। এবং জীবণে চলার পথে। ব্যর্থতার গ্লানি সহ্য করতে করতে একটা সময়। ঠিকই সফলতাকে নিজের জীবণের জন্য সুনিশ্চিত করা সম্ভব।

সাংস্কৃতিক আত্তীকরণ বলতে কি বুঝায়? আত্তীকরণ কি ও কেন ঘটে? বিস্তারিত জানুন

সফল ব্যক্তিরা এই উক্তিতেও বিশ্বাস করে: “পৃথিবীতে এমন কোন সমস্যার জন্ম হয়নি। যার কোন সমাধান সম্ভব ছিলনা।” এমনকি আজ থেকে আগামী পর্যন্ত যতো রকমের সমস্যার সৃষ্টি হবে। সেটারও ঠিক কোন না কোন, সমাধানের উপায় থাকবে। এটি একটি উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়, যেটিকে আপনি অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারেন।

অর্থনৈতিক সমস্যা দূরীকরণে, আপনাকে কিছু তো করতেই হবে। আর কিছু যেহেতু করতেই হবে। তাহলে ব্যবসা কেন নয়?

সুতরাং এখন থেকেই লাভজনক কোন ব্যবসার উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করুন। তারপর সঠিক নিয়ম-নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন।

কেন উদ্যোক্তা হবেন?

সাধারণত চাকরির ক্ষেত্রে আপনার বস্ যেরকম সিদ্ধান্ত দিবে। আপনাকে ঠিক সেরকমটাই মানতে হবে। এক্ষেত্রে নিজের সিদ্ধান্তে থাকার অধিকার বা স্বাধীনতা,যেটাই বলুন না কেন! কোনটাই বস’র কাছে গ্রহণীয় নাও হতে পারে।

অপরদিকে স্বউদ্যোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করলে, ব্যবসার মালিকানা আপনাকে স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়ন প্রদান করতে সক্ষম। কারণ, নিজস্ব মালিকানা উদ্যোক্তাদেরকে নিজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি, উপলদ্ধি গঠণ এবং অন্যান্য উদ্যোক্তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক গঠনের সুযোগ প্রদান করে থাকে।

কারো অধীনে কাজ করার চেয়ে স্বউদ্যোগে পছন্দমতো কর্মসংস্থান তৈরি করে নেওয়া উত্তম। এতে করে নিজস্ব ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা এবং জীবণের লক্ষের উপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ার গঠন করা যায়।

একজন উদ্যোক্তা নিজের আত্নকর্মসংস্থান এবং চাইলেই, অন্যদের জন্যও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে। সুতরাং সফল হতে হলে, উদ্যোক্তা হওয়া প্রয়োজন।

উদ্যোক্তা হওয়ার আরেকটি কারণ, কেন উদ্যোক্তা হবেন?

আমাদের দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা হলোঃ অধিকাংশ মানুষ তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পায়না। তাই ভালো একটা কোম্পানীতে চাকরি পাবার আশায় ব্যস্ত না থেকে – বরং এখন থেকেই ভালো একটা ব্যবসার উদ্যোগ নিন।

আরও পড়ুন ;  ছবি দিয়ে টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো? সেরা সফটওয়্যার কোনটি

এবং কোন কোম্পানিতে চাকরির ইন্টারভিউ এর জন্য, যে সময় ও পরিশ্রম ব্যয় করতেন। সেই সময়টা ব্যবসা পরিচালনার কাজে মনোনিবেশ করুন।


দেখবেন; বেকারত্ব আপনার থেকে দূরে পালিয়ে যাবে। এবং আপনার অন্যান্য চাকরিরত বন্ধুদের তুলনায়। আপনি শতগুণ বেশি সাকসেস হতে পারবেন।

উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়

উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বয়স শীথিলযোগ্য। অর্থাৎ আপনার দক্ষতা থাকলে যেকোন বয়সেই নির্দিষ্ট কোন ব্যবসার উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে। উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব। সত্যিকারার্থে বলতে গেলে। উদ্যোক্তা হওয়ার বিশেষ কোনও মুহূর্ত বা কাল নেই। একজন ব্যক্তি যেকোনো সময় নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

তবে, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত, নিয়ম-নীতি ও কৌশলের প্রয়োজন। যেগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে লিখলাম।

উদ্যোক্তা হওয়ার শর্তসমূহ

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম নীতি আপনাকে মানতে হবে
সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম নীতি
  • ইচ্ছা শক্তি: উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম শর্ত হলো। ব্যবসা স্টার্টআপ করতে হলে। প্রথম থেকেই আপনার প্রচন্ড “ইচ্ছা শক্তি” থাকতে হবে।
  • আত্মবিশ্বাস: একজন উদ্যোক্তা হবার প্রধান শর্ত হচ্ছে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। ব্যবসার শুরু থেকেই বিশ্বাস করতে হবে। আপনি যা করতে যাচ্ছেন। বা যা কিছু করছেন। এসব কিছুই আপনার সফল হওয়ার জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
  • মানসিক স্থিতিশীলতা: অধিকাংশ উদ্যোক্তাদের ব্যর্থ হওয়ার জন্য তারা নিজেরাই দায়ী। কারণ, তারা কোন একটি কাজে হঠাৎ করেই উদ্যোগ নেয়। এবং ভবিষ্যত ফলাফলের কথা ভাবার জন্য। পর্যাপ্ত সময় নিয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়না।

সুতরাং, সফল উদ্যোক্তা হতে হলে। কোন কাজে তড়িগড়ি করে সিদ্ধান্ত নিবেন না। বরং নিজের মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সচেষ্ট হন। কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন। কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে ভাববেন না। এতে করে কাজের কাজ কিছুই হবে না।

  • প্রচেষ্টা: Try more than one | You must be success. অর্থাৎ ব্যর্থ হলে হতাশ হবেন না। বরং ব্যর্থতার কারণ খুঁজুন এবং ব্যর্থতা থেকে ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা গ্রহণ করুন। সেই সাথে সফলতাকে পুনঃজ্জীবিত করতে। বিশ্বস্ত ও অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন টিপস ও আইডিয়া নিন।
    এবং আপনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। কারণ, আপনাকে সফল হতে হলে। অসম্ভব চেষ্টা করতে হবেই।

মনে রাখবেন: ব্যর্থতা ছাড়া সফলতা কখনোও সম্ভব না। তবে আসল কথা হলো। যেখানে ব্যর্থতার শেষ। সেখান থেকেই সফলতার শুরু।

সুতরাং একজন উদ্যোক্তা হওয়ার শর্ত হলোঃ নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস, মানসিক স্থিতিশীলতা, প্রচেষ্টা, ও দৃড় মনোবলতার সাথে কাজ করা।

উদ্যোক্তা হওয়ার নিয়ম-নীতি

উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয় জানতে হবে। যেগুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করলে। আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। যেমন: আইডিয়া, প্রস্তুতি গ্রহণ এবং বিনিয়োগের যোগান বা ইনভেস্টমেন্ট। চলুন; বিষয়গুলোর বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক:

আইডিয়া

উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ঠিক করতে হবে। আপনি কি করবেন। বা কোন বিষয়ে উদ্যোগ নিবেন। এর জন্য ভালো আইডিয়া জেনারেট করার সৃজনশীল চিন্তা-শক্তি থাকতে হবে।

প্রস্তুতি গ্রহণ

ব্যবসা করা তখনই রিস্ক। যখন এটা আপনি না জেনে করবেন। কারণ, আপনি যদি সাতার না জেনে পানিতে নামেন। রিস্ক তো হবেই। সুতরাং যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ পূর্বক যে কোন কাজের উদ্যোগ নিলে। আপনি সফল হতে পারবেন।

বিনিয়োগের যোগান

মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বেড়ে উঠা অধিকাংশ উদ্যোক্তাদের জন্য। সবচেয়ে বড় বাধা হলো। পরিমিত ও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ বা ইনভেস্ট করার সামর্থ থাকেনা।

এক্ষেত্রে আপনাকে অন্য রকম করে ভাবতে হবে। অর্থাৎ ধরুন, আপনি এমন একটি উদ্যোগ নিলেন। যা বাস্তবায়ন করার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ১০০০০০ (এক লক্ষ) টাকার প্রয়োজন। কিন্তু আপনার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা নেই।

তাহলে আপনার বিজনেস মডেল বা প্রজেক্টকে। বিনিয়োগকারীদের কাছে উপস্থাপন করুন। সেক্ষেত্রে এমনভাবে উপস্থাপন করবেন। যেন বিনিয়োগকারীরা আপনার প্রজেক্ট দেখে ইনভেস্ট করতে আগ্রহী হয়। এবং সেই সাথে এমন কিছু ভবিষ্যত পরিকল্পনার রোল তৈরি করবেন। যেগুলো জানার পর, ইনভেস্টকারীরা। আপনার প্রজেক্টে বিনিয়োগ করে আশ্বাস পায়।

আর হ্যাঁ! যদি এমন হয়। আপনার কাছে ইনভেস্ট করার মতো। পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থের যোগান রয়েছে। সেক্ষেত্রে কখনই স্বর্বস্ব ব্যয় করবেন না।

একজন উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় :- যদি ইনভেস্ট করার মতো ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা থাকে। তাহলে চেষ্টা করবেন, ৬০,০০০ (ষাট হাজার)টাকা ইনভেষ্ট করতে। অর্থাৎ ব্যবসায় উদ্যোগের প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার সঞ্চিত আয়ের ৬০%ইনভেষ্ট (ব্যয়) করুন। বাকিটা আগামীর অনাকাঙ্খিত ঝুঁকি এড়াতে সঞ্চিত রাখুন।

শেষ করার আগে, আপনাকে এতটুকু বলতে চাই। আমরা অনেক রকমের স্বপ্ন দেখি। বা মুটিভেশন করে স্বপ্ন দেখাই। কিন্তু অধিকাংশরাই জানে না। কিভাবে স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হয়।

তাই, কারো আশায় না থেকে। সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করে। নিজের স্বপ্নকে নিজেই বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগী হন। এবং জীবণে বলার মত একটা গল্প তৈরি করতে শিখুন।

উপরে বর্ণিত, একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে স্বউদ্যোগী হতে সচেষ্ট হন। এবং এখন থেকেই উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করুন। অবশেষে, সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার পরও আপনার আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানান। ধন্যবাদ।।

Related Articles

One Comment

  1. In the modern age, online is the main way to earn easy money sitting at home. You can do this job sitting at home, you do not need to go out. And by doing this online you can earn a huge amount of money every month. So I think there is nothing left to say about what is online income and why you will earn income online. If you want to earn money online. InshaAllah, if you want to earn money online, then you must read this article.

    How to make money online?
    There are many different ways to make money online nowadays. One by one people is making money online using one of the platforms. Here are some ways you can make money online like:
    visit: techbds24.com

Leave a Reply